মহান আল্লাহর বানী ‘নিশ্চয়ই মু’মিমরা ভাই ভাই ‘। সুরা হুজুরাত-১০।
এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হলো এ আয়াতে ভাই ভাই বলতে কী হানাফি-হানাফি,শাফেয়ী-শাফেয়ী,মালেকী-মালেকী,হাম্বলী-হাম্বলী,সালাফি-সালাফি,আলিয়া-আলিয়া,কাওমী-কাওমী ভ্রাতৃত্ব উদ্দেশ্য না, সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব উদ্দেশ্য?
আয়াতের “আল মু’মিনুন” শব্দ থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় এখানে সার্বজনীন ভ্রাতৃত্বের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ইদানিং কিছু দ্বীনি ভাইয়ের কথাবার্তা, হাবভাব,বাচনভঙ্গি দেখলে মনে হয় তারা নিজেদের মানহাজ ছাড়া অন্য মানহাজে মু’মিন,হক্ব,আল্লাহ ওয়ালা থাকতে পারেন সেটা সহ্যই করতে পারছেন না। কথায় কথায় বিদআতি, গোমরাহ ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে নিজেদের দায়িত্বের সমাপনী টানছেন।
পরিশেষে সব মানহাজের দ্বীনি ভাইদের প্রতি আমার চাওয়া হচ্ছে, কে মু’মিন কে নয়? কার ঈমানের অবস্থা কী? এর উত্তর একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। এমনও হতে পারে যাকে আমি গোমরাহ বলছি, সে আল্লাহর কাছে আমার চেয়ে বড় ঈমানদার!!
আমরা শুধু বাহ্যিক দিক বিবেচনায় যে/যারা হাদিসের ভাষ্য মতে, এক আল্লাহে বিশ্বাস করে,আমাদের কিবলাকে কিবলা মনে করে,আমাদের জবাইকৃত পশু খায়, সবাইকে মু’মিন বলে আমাদের ভাই বলে অন্তরে স্থান দেই।
কারো কোনো আমলে কুরআন-হাদীস বিরোধী কিছু পেলেই গোমরাহ,বিদআতি ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন খোলে বের করে না দেই। আমার ভাই ভুল করছে এটা মনে করে তাকে বাচানোর সাধ্যমতো আপ্রাণ চেষ্টা করি।
যে মানহাজেরই হোক সব মু’মিন আমার ভাই।আমার মায়ের পেটের ভাই কী কোন পাপ করে না?এজন্য কী তাকে আমি ত্যাজ্য ভাই করি?
আল্লাহু আ’লাম বিছছাওয়াব।