২৪ ঘন্টার ব্যবধানে নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বদল করা হয়েছে। বোর্ড সভা থেকে আশরাফ হোসেন সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয় ১৩ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে। আবার বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় আশরাফের মনোনয়ন বাতিল করে নতুন করে নরসিংদী শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চুকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত চিঠি নরসিংদীর রিটার্নিং অফিসার কে পাঠানো হয়।
এ ঘোষণার পর থেকেই শহর জুড়ে গুঞ্জণ চলছে আমজাদ হোসেন বাচ্চুর মনোনয়ন নিয়ে। সবার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হত্যা চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন আশরাফ হোসেন সরকার। হত্যা মামলায় তিনি দায় স্বীকার করে জন্ম দিয়েছেন বলে খবর চাউর হতে থাকে। ফলে মনোনয়ন পেয়ে নিজ ঘরে আসার আগেই মনোনয়ন বদলে যাওয়ার পর পান তিনি। মুহূর্তে আনন্দের পরিবেশ বিষাদে রূপ নেয়।
বর্তমান মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেননি বলেও একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।সবার জিজ্ঞাসা দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ না করে আমজাদ হোসেন বাচ্চু কিভাবে মনোনয়ন পেলেন। এটি কি আইন সম্মত কিনা।
যখন দলীয় মনোনয়ন বিতরণ চলছিল তখন আমজাদ হোসেন বাচ্চুকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করতে দেখা যায়নি । তবে যারা দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি । তাহলে কি গনেশ উল্টে গেল ।
আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, এটা কেমন হলো বুঝলাম না। একবার আশরাফ সরকার কে দেওয়া হল আবার এখন বাচ্চু। তাছাড়া বাচ্চুকে তো দেখিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে তবে সে কিভাবে দলীয় মনোনয়ন পেল। যদি দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা ছাড়াই দলীয় মনোনয়ন পাওয়া যায় তাহলে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের রেওয়াজটি বাতিল হোক । তামাশা ভাল লাগেনা ।
অন্যদিকে হঠাৎ-ই পরিবর্তনের মাধ্যমে সঞ্চার হয়েছে কামরুজ্জামান কামরুল পন্থী নেতাকর্মীদের মধ্যে। বাচ্চু কামরুজ্জামানের খুব কাছের বলে পরিচিত। তবে এমপি কোনটি হিসেবে আশরাফ হোঁচট খেয়েছেন বলে সেখানে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আওয়ামী লীগের মধ্যে দুই গ্রুপের প্রতিযোগিতা এখন মনোনয়ন দৌড়ে প্রকাশ্যে এসেছে। সামনে আরো কোনো পরিবর্তন আস কিনা সেটাও নিয়েও অনেকে আশঙ্কা করছেন।