নরসিংদীতে করোনার টিকা নিলেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। করোনা টিকাদানের ১১ তম দিন বুধবার দুপুরে জেলা কোভিড হাসপাতালে একসাথে টিকা নিতে আসেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম ও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নরুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন সবার প্রথমে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম (পিপিএম) ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুরুল ইসলাম করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। তাদের এই টিকা নেয়ার ফলে জেলার সাধারণ মানুষকে টিকা নিতে আরো উদ্বুদ্ধ করবে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
টিকা নেওয়ার পর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের করোনা মহামারি থেকে বাঁচানোর জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছেন। সারা দেশে টিকার কার্যক্রম চলছে । তারই ধারাবাহিকতায় আমরা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা হিসেবে গ্রহণ করলাম। সকল টিকারই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। সামান্য জ্বর আসতে পারে। তবে আমি মনে করি টিকা নেওয়ার পর আজ সারাদিন আমি অফিস করতে পারব। কোনো সমস্যা হবেনা।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম সবাইকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, করোনা মোকাবিলায় নরসিংদী জেলা পুলিশের সদস্যরা শুরু থেকেই মানুষের পাশে থেকে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও জনগণের সেবা ও সুরক্ষায় নরসিংদী জেলা পুলিশের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ১১তম দিনের মতো নরসিংদীতে চলছে করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত নরসিংদী জেলা হাসপাতাল সহ জেলার ৮টি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। নরসিংদীতে ৭২ হাজার করোনা টিকা রয়েছে। ইতিমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে গতকাল পর্যন্ত ১৬ হাজার মানুষ টিকার জন্য আবেদন করেছে।
গতকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি টিকা কেন্দ্রে ১০ জাজার ৮৭৩ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল জেলায় সর্বোচ্চ ২১৩৫ জন টিকা গ্রহণ করেছে। জেলার টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ৯টি স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মীদের দল টিকা প্রদান করছে।