নরসিংদীতে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের ৭২ হাজার ডোজ টিকা (ভ্যাকসিন) সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকালে বেক্সিমকো ফার্মার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কাভার্ড ভ্যানে করে এসব টিকা নরসিংদীতে আসে। বহুল প্রতীক্ষিত এসব টিকা হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আপাতত এসব টিকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়াক ইন কোলার (ডব্লিউআইসি) বা হিমায়িত কক্ষে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী রোববার কিংবা সোমবার থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেওয়ার জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকসহ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এই জেলায় টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল মোতালেব খান জানায়, নরসিংদী জেলার জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ কার্টন টিকা এসেছে। প্রতি কার্টনে ১ হাজার ২০০ ভায়েল (শিশি) টিকা রয়েছে। প্রতি ভায়েলে রয়েছে ১০টি ডোজ। সে হিসেবে মোট ৭২ হাজার ডোজ টিকা আমরা পেয়েছি। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই চালানের সব টিকা জেলাবাসীকে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ১৫টি শ্রেণির (ক্যাটাগরি) ব্যক্তিরা এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
এদিকে করোনার টিকা সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, টিকা পাবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম গুছিয়ে আনা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে এসব কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও ৬ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে টিকাদান বুথ স্থাপন করে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি বুথে ছয়জন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি এই টিকা প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে দুজন প্রশিক্ষিত টিকাকর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে মোট ৭২ হাজার ডোজ টিকা (ভ্যাকসিন) আমরা হাতে পেয়েছি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবো। তবে এ পর্যন্ত টিকা নিতে আগ্রহী মোট ৭ হাজার ৪২ জনের তালিকা আমরা হাতে পেয়েছি। টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করার অনুরোধ জানান তিনি।