নরসিংদী জেলা সব ধরনের সবজির জন্য বিখ্যাত! শীতকালে প্রচুর সবজি উৎপাদন হয় নরসিংদীতে! এসব উৎপাদিত সবজি নরসিংদী জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয়!
শীতের শুরুতে শীত কালীন নানা রকম সবজিতে বাজার কানায় কানায় ভরপুর ছিল! তবে দাম নাগালের বাইরে! কিন্তু শীত বাড়ার সাথে সাথে বাজারেও বেড়েছে সবজির যোগান! এতে করে চড়া দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে না ভোক্তার! সামর্থ্যের মধ্যেই এসে পরেছে দাম!
মৌসুমের শুরুতে ভারী ও দীর্ঘ মেয়াদী বর্ষণে ফসলের আশাব্যঞ্জক ফলন সম্ভব না হলেও এখন সবজির উৎপাদন বেড়েছে অনেক বেশি!
মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা শীতকালীন আগাম সবজির চাষ করেও অতিবৃষ্টির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হন! যে কারনে বাজারে সবজির যোগান কমে যায় যার দরুন দাম বৃদ্ধি পায়। অতিবৃষ্টির প্রকোপ কেটে গেলে কৃষকরা এখন শাক সবজির উৎপাদন বাড়িয়েছে!শীতের সবজি ফুলকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, মিষ্টি কুমড়া সহ অন্যন্যা শীতকালীন শাক সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে!
নরসিংদী জেলার ৬ টি উপজেলাতে শীতকালীন আগাম সবজির চাষ করা হয়! এসব সবজি স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা হাটগুলিতে বিক্রি করা হয়! জেলার বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে সকল শাকসবজির দাম আগের চেয়ে ১০/৩০ টাকা করে কমেছে! তবে উৎপাদন যদি আরো বাড়ে দাম আরো অনেকটা কমে আসবে বলে ধারনা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের!
বেলাব উপজেলার কৃষকরা জানান,”শীত আইবার আগে যহন ফসল লাগাইয়াম তহন মেঘের কারনে লাগাইতাম পারছিনা! কিন্তুক এহন আবহাওয়া ভালা তাই সবজিও ভালা অইতাছে। ”
নরসিংদী জেলার বৃহৎ পাইকারী বাজার বারৈচা বাজার। এখানে পাইকারী ক্রেতা জামাল মিয়া। সে বারৈচা বাজার থেকে সবজি কিনে রাজধানী শহরে বিক্রি করে! তার সাথে কথা বলে জানা যায় সবজির যোগান বেড়েছে ব্যাপক! তাই দামও আগের তুলনায় অনেক কম! খুচরা বাজারে শীতকালীন সবজির চাহিদাও বেশি। এ সময় ক্রেতা বিক্রেতা সবাই দাম নিয়ে সন্তুষ্ট!
পলাশ উপজেলার কৃষক আরমান মিয়া বলেন, “মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির জন্য ভাল করে চাষাবাদ করতে পারিনি! বীজ বপণ করেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি! এখন যদি হো হো করে দাম কমে তাহলে বিশাল লোকসানে পরে যাব!