নরসিংদীতে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে দলবেধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বুধবার রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের নতুন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিত ওই কিশোরী শহরের একটি স্পিনিং মিলে শ্রমিকের কাজ করেন।
৭ অক্টোবর বুধবার রাতে শহরের নাগরিয়াকান্দি ইউএমসি জুটমিলের পাশের একটি বাড়িতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করে ওই কিশোরী।
গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার আকানগর এলাকার সাইজ উদ্দিনের ছেলে ও নরসিংদীর ইউএমসি জুটমিলের সাবেক শ্রমিক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইউএমসি জুটমিলের পাশের একটি বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়ায় বসবাস করে ওই কিশোরী। সে একটি স্পিনিং মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। কিশোরীর পাশের কক্ষে পরিবার সহ ভাড়ায় বসবাস করেন ইউএমসি জুটমিলের সাবেক শ্রমিক বাঞ্ছারামপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম। গত ০৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা বাসায় না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে কৌশলে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নিয়ে আসে। পরে দরজা লাগিয়ে তাকে আটকে রাখে। এরপর ফোন করে অজ্ঞাত আরও দুই জনকে ডেকে আনা হয়। পরে রফিকুলসহ তিন জন ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার রাতে রফিকুলসহ তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বুধবার নরসিংদী সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরেই আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। মূল আসামি রফিকুলকে গ্রেপ্তারে তার গ্রামেও অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ রফিকুলকে শহরের নতুন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
নির্যাতিত ওই কিশোরী সাংবাদিকদের বলে, উনাকে (রফিকুল) আমি চাচা বলে ডাকি। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখান তিনি। রফিকুল বাদে অন্য দুজনকে আমি আগে কখনো দেখিনি। তবে এখন দেখলে চিনতে পারব। তাদের একজনের বয়স ৪৫ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৩০ বছরের কাছাকাছি।
নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে । আর বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।