নরসিংদী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা সুলতানা শিমুকে (৩২) গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে চিনিশপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার এক ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বড় ভাই মো. আলাউদ্দিন মিঠু বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত তাহমিনা বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের হাড়িসাংগা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান উদ্দিনের মেয়ে। আর স্বামী রহুল আমিন মুরাদ পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে । সে নারায়ণগঞ্জে জাহাজে কাজ করে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, ২০১৪ সালে তাহমিনার সাথে পার্শ্ববর্তী পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের রুহুল আমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য শ্বশুর পারিবারের লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এ ঘটনায় একবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে একবছর আলাদা থাকেন তাহমিনা। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের সমঝোতায় সংসার শুরু করলেও টাকার জন্য চাপ কমেনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি শ্বশুরকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন, শ্বাশুড়িকে চিকিৎসা করান। তারপরও বুধবার রাতে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন স্বামী রুহুল আমিন। পরে রুহুল আমিন পাশ্ববর্তী নিহত তাহমিনার আপন খালা পারুল আফ্রাদকে খবর দেয় তাহমিনা কেমন জানি করতাছে। খবর পেয়ে তিনি বাসায় গিয়ে অচেতন অবস্থায় তাহমিনাকে উদ্ধার কওে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় বোন সাদিকুন নাহার রিপা বলেন, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর নরসিংদী সদর হাসপাতালে যোগদান করে গত ২ অক্টোবর নরসিংদীর বাসায় ওঠে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে আমার সঙ্গে শিমুর কথা হয়। সে জানায়, সন্ধ্যায় শ্বশুর তার স্বামীকে ফোন করে টাকার জন্য চাপ দেয়। আর রাতেই তাকে হত্যা করা হলো।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে তাহমিনার গলায় কালো দাগ পাওয়া গিয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার মৃত্যুও প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। আর নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।