করোনা মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে সরকার রেড জোন ঘোষণা করে নতুন করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এসব এলাকার মধ্যে নরসিংদী সদর ও পলাশ এবং মাধবদী পেীরসভার নাম রয়েছে। জেলায় প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবুও নমুনা পরীক্ষার ভোগান্তি নিয়ে কোন সুরাহা হচ্ছে না। প্রতিদিন জেলা হাসপাতালে মাত্র ২৫ টা থেকে ৩০ নমুনা নেয় হচ্ছে আগে যেখানে নমুনা নেয়া হতো ৭০-৮০টি নমুনা। ফলাফল পেতেও ৫ দিনের মতো লেগে যাচ্ছে।
গত ৩ জুন করেনা উপসর্গ নিয়ে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া আগেই জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে মৃত্যু হয় নূর আলম খন্দকারের। বাড়ি থেকে কয়েক গজে দূরে হাসপাতাল থাকলেও সামাজিক এ সংগঠকের মৃত্যু হয় করোনার খবর জানার আগেই। মৃত্যুর ৩ দির পর ফলাফলে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর এ পরিবহন ব্যবসায়ির মা গত ১২ জুন মারা যান। তিনিও মৃত্যু আগে করোনার ফলাফল পাননি। তাই অনেকে বলছিলেন ছেলের মৃত্যু শোকে উনার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর ৩দিন পর এবং নমুনা পরীক্ষার প্রায় এক সপ্তাহ পরে জানা যায় তিনিও করোনার শিকার হয়েছেন। করোনা ফলাফলের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে সর্বশেষ ঢাকার একটি হাসপাতালে উনার মৃত্যু হয়।
এভাবে প্রতিদিন নরসিংদীতে করোনায় মৃত্যুর মিছির দীর্ঘ হলেও পিসিআর ল্যাব স্থাপনের সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষণা নেই। গাজীপুর আর নারায়নগঞ্জে ল্যাব থাকলেও বন্ঞিত পা্রয় ২৪ লাখ লোকের এ শিক্ষা ও শিল্প নগরীর জনগণ। শিল্পমন্ত্রী বলার পরও নানা জটিলতায় আটকে আছে ল্যাব স্থাপনের কাজ। এ জেলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের এবং শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১১৭ জন। উপসর্গ নিয়েও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
আগের খবরটি পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিংকে
মৃত্যুর আগে পরীক্ষার সিরিয়াল হয়নি