নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক কলহের জেরে আফসানা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী হযরত আলী (৩৮) পলাতক রয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহত আফসানা আক্তার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিনের মেয়ে। অপরদিকে স্বামী হযরত আলী একই ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ১২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। স্বামী হযরত আলী মালয়েশিয়া থেকে দেড় মাস আগে ছুটিতে আসেন। এরপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাদের মাঝে ঝগড়া হতো। বুধবার ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে হযরত আলী আফসানাকে ঘরের পিছনে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
নিহত আফসানার মেয়ে জানান, রাতে তার মাকে হত্যার পর তার বাবার হাতে রক্ত দেখতে পায় তার ছোট ভাই সাইফ। পরে হাতে রক্ত লেগে থাকার কারন জানতে চাইলে তার বাবা বলেন একটি মুরগী জবাই করেছেন তিনি। এর পর তারা মায়ের লাশ দেখতে পায়।
নিহতের মা হাসনা হেনা বেবি বলেন, ‘টাকা-পয়সার হিসেব ও পরকীয়ার বিষয় নিয়ে স্বামী হযরত আলী দীর্ঘ দিন যাবত আফসানাকে সন্দেহ করতো। এরই জেরে তাকে হত্যা করেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি এ ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা এটা তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে স্বামী হযরত আলীসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নরসিংদী মিরর/এফএ