নরসিংদীর মনোহরদীতে গৃহবধূর পারভীন আক্তারকের (২০) লাশ মিলল তার শ্বশুরের ঘরের খাটের নিচে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন স্বামী মো. আসিফ (২৫)।
গতকাল রবিবার উপজেলার চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মনোহরদী থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। আসিফ ওই গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। নিহত পারভীন আক্তার উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের খালিয়াবাইদ গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
গৃহবধূর ভাই স্বপন মিয়া জানান, ১০ মাস আগে আসিফের সঙ্গে পারভীনের বিয়ে হয়। গত ২২ দিন আগে পারভীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামীর বাড়ীতে তুলে নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার কয়েকদিন পরই পারভীনের সকল স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেয় আসিফ। গয়না বিক্রির টাকা দিয়ে সে নিয়মিত মাদক সেবন করত।
এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মঝে ঝগড়া হয়। পারভীন বিষয়গুলো আমাদেরকে জানিয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে পারভিনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাছাড়া আসিফও ফোন রিসিভ না করায় সন্দেহ হয়। বিকালে ওই বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পেয়ে আশপাশের বাড়ীতেও খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি।
রবিবার সকালে পাশের বাড়ী থেকে একজন ফোনে জানান পারভীনের লাশ পাওয়া গেছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে শ্বশুরের ঘরের খাটের নিচে পারভীনের লাশ দেখতে পাই।
রামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মমিনুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।