নরসিংদীর মনোহরদীতে আরিফ (২২) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলা গোতাশিয়া শুকুর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনের পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে গোতাশিয়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রুবেল (২৪) এবং উত্তর রথেরকান্দা গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে শরিফ (২২) নামে দুজনকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আরিফ গোতাশিয়া গ্রামের ওসমানের ছেলে। সে গোতাশিয়া মুন্সির বাজারের সাউন্ডের ব্যবসা করতো।
নিহত আরিফের নানা সুলতান উদ্দিন জানায়, রবিবার সন্ধায় আরিফের বন্ধু রুবেল মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় আরিফকে সাথে নিয়ে দুজন ঘুরতে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টার পরও সে বাড়িতে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বাড়ির লোকজন নিয়ে পরিচিত বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকি। কিছুক্ষণ পর গোতাশিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজল মিয়া মোবাইল ফোনে জানায় শুকুর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে এক মরদেহ পড়ে আছে। পরে চেয়ারম্যানসহ পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে আরিফের মরদেহ চিহ্নিত করি। এ সময় তার হাত এবং কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
মনোহরদী থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের নানা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আর রুবেল এবং শরীফ নামে দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তাদের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা যাচাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর ময়নাতদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।