নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে জুবায়েরের হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিত ২২ মার্চ বিকেল ৪ টায় মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। নজরপুর ও আলীপুরের সংযোগ স্থল চেংগাতলি বাজার সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধন টি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৮ মার্চ আলীপুর গ্রামের কিছু বিপদগামী লোকের হাতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে ১৯ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে পুরো নজরপুর ইউনিয়নে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জুবায়েরকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য মানববন্ধণ করেছে নজরপুর ইউনিয়ন বাসী। তাদের সবার সম্মিলিত দাবি যে কোন প্রকারেই হোক জুবায়েরের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের কে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দন্ড দেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে হাজার জনতার সমাগম হয়েছিল। সকলেই আবেগঘণ কণ্ঠে মিনতির সুরে পুলিশ ও জেলাপ্রশাসনের কাছে হত্যায় জড়িত সকলের কঠিন বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে থেকে ছিফর আলী মাস্টার বলেন, জুবায়ের আমার ছাত্র ছিল। সে অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস ছিল। তাকে যারা হত্যা করেছে আমি মনে করি হত্যাকারিদের ফাঁসি ছাড়া অন্য সাজা কম হয়ে যাবে।
জুবায়ের বন্ধু আদনান শরীফ বলেন, বন্ধু আমার অনেক কষ্ট পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তার এই কষ্ট নিজের চোখে দেখেছি। আমি চাই হত্যাকারিকে গ্রেফতার করে দ্রুত ফাঁসিতে ঝুলানো হোক। তাহলে আমাদের মন কিছুটা শান্ত হবে। মনকে কিছুতেই মানাতে পারছিনা। আল্লাহ জুবায়ের কে পরপারে ভাল রাখুন।
জুবায়েরের মায়ের সাথেও আমাদের কথা হয়। তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে ছেলের হত্যার বিচার চেয়েছেন। তার চোখের অশ্রুতে ও কান্নায় ক্রমেই ভারি হচ্ছিল আকাশ বাতাস। তিনি বলেন, আমার অমন ছেলেকে যারা মেরেছে তাদেরকে যেন কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া না হয়।
মানববন্ধনে সবার হাতে প্লেকার্ড ও ব্যানারে লেখা ছিল’জুবায়েরের হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই!’ সহ নানা ধরনের শ্লোগান। মিছিল আর শ্লোগানে মুখরিত ছিল চারদিক।
এলাকার স্থানীয়রা জানান, নরসিংদীতে এত বড় মানববন্ধন আর কখনো দেখিনি। জুবায়ের ভাল ছেলে ছিল। তার এ অকাল মৃত্যু সবার মনকে ব্যথিত করেছে তাই নারী পুরুষ সবাই একযুগে মানববন্ধনে শরিক হয়েছেন।
মানববন্ধনে জুবায়েরের হত্যাকারিদের গ্রেফতারের জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দেন অংশ নেওয়া লোকেরা।
মামলার বিষয়ে আমাদের কথা হয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আতাউর রহমানের সাথে তিনি জানান, শাহজাহান মিয়া নামে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।