নরসিংদীর শিবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চরসুজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী ঘাতক মামুনকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট শোপর্দ করেন। নিহত আরিফুল ইসলাম রুবেল (২৭) চরসুজাপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি পুটিয়া ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সীমানা ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিহত আরিফুল ইসলাম রুবেল এর বাবা নূরুউদ্দিন মোল্লার সাথে একই গ্রামের মামুনদের দন্ধ চলে আসছিল। সম্প্রতি মামুন নুরুউদ্দিনের জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল দেন। এনিয়ে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য নিহতের বাবা শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানের নিকট দ্বারস্থ হন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়াম্যানের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠক হয়। সালিসে নিহত রুবেলদের পক্ষে রায় দেন সালিসের বিচারকরা। কিন্তু বিচার মানতে নারাজ প্রতিপক্ষ। পরে সালিস শেষে বিচারকরা চলে যাওয়ার পর মামুন অতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র সাবল নিয়ে রুবেলের গলায় আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হয়ে তাকে ঢাকায় প্রেরন করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার পর পরই স্থানয়ীরা ঘাতক মামুনকে আটক করে গন ধোলাই দিয়ে পুলিশে শোপর্দ করেন।
নিহতের ভাই দীপু বলেন,সালিস শেষ হয়েছে। সালিসে আমাদের পক্ষে রায় হয়েছে। পরে সীমানা নির্ধারন করা হচ্ছিল। এসময় হঠাৎ প্রতিপক্ষ মামুন এসে শাবল দিয়ে রুবেলের গলায় আঘাত করেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।