নরসিংদীর করোনা পরীক্ষার হাল

আগের সংবাদ

ছেলের পর মায়েরও বিদায়, মৃত্যুর পর করোনার রেজাল্ট

পরের সংবাদ

ট্রাম্পকে কেন আবার ক্ষমতায় চায় চীন?

ইয়াহইয়া নকিব

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২০ , ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সাথে বিশ্ব নেতৃত্বের একটা বিষয় সব সময়ই জড়িয়ে থাকে। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে জো বাইডেনকে ক্ষমতায় আনতে চীন কাজ করছে বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার মন্তব্য করেছেন। তবে চীনের বেশ কয়েকজন নীতি নির্ধারকের সাথে কথা বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে চীন ক্ষমতায় চাচ্ছে ট্রাম্পকে!

চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে ঘনিষ্ঠ ৯ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এমন খবর দিচ্ছে সংবাদ সংস্থাটি। চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল ইস্যুতে চীনকে সরাসরি দায়ী করলেও এমনকি করোনা ইস্যুতেও চীনের বিরোধীতার পরও কেন এমন চাওয়া চীনের?

চীনা কর্তাদের একজন মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র যে বিশ্বের বিভিন্ন মিত্রদের থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে এটা চীনের ওপর চাপিয়ে দেয়া বাণিজ্য যুদ্ধ কিংবা ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প আসার পরেই যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব থেকে নিজেদের আনেকটা সরিয়ে নেয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীন আর রাশিয়া।

হোয়াইট হাউসে কে আসবে সেটার উপর দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক ও উত্তেজনা অনেকটা নির্ভর করবে। ট্রাম্প আসলে বাণিজ্য যুদ্ধসহ অনেকভাবে সম্পর্ক খারাপ হলেও ভূরাজনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান হবে চীন। বাইডেন আসলে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক অন্য দেশের সাথে বেড়ে যেতে পারে। তাই বাণিজ্য যুদ্ধকে নিজেদের বৈশ্বিক রাজনৈতিক স্বার্থে মেনে নিতে প্রস্তুন চীন। করোনা ভাইরাসের এ সময়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর একটা সুযোগ পেয়েছে চীন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ বেশ কয়েকটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে চীন। অন্যদিকে জলবায়ু ইস্যুসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে ইউরোপের সাথে বৈরিতায় জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করছে আফগান, ইরাক ও জার্মানী থেকে। বিশ্ব থেকে থেকে সরে এসে নিজ দেশ নিয়ে কাজ করতে চায় ট্রম্প। আর এটাই বড় সুযোগ চীনের সামনে।

বাণিজ্য যুদ্ধে কিছুটা ক্ষতি হলেও চীনের লক্ষ্য আগামীতে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাদের বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধি করে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ মোকাবেলা করা। তাছাড়া এশিয়া-ইউরোপে নিজেদের মিত্রতা বৃদ্ধি করে বিশ্ব শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেখছে চীন। সেটা ট্রাম্প আসলে চীনের জন্য অনেকটা সহায়ক হবে বলে ধারণা চীনা সরকারের। আর সে জন্যই চির শত্রুকে আরো ৪ বছর সহ্য করতে রাজি বেইজিং।

নকি