নরসিংদী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দৌড়বিদ অংশ নেবেন ‘রায়পুরা ম্যারাথনে’। তিনটি ক্যাটাগরিতে ৭০০ জন দৌড়াবেন। ছয়টি দেশের দৌড়বিদের অপেক্ষায় দেশের বৃহত্তম উপজেলা রায়পুরাবাসী। আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রায়পুরা ম্যারাথন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রায়পুরা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান।
তিনি আরো জানান, তিনটি ক্যাটাগরিতে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে। ফুল ম্যারাথন ৪২ কিলোমিটারে ১০০ জন, হাফ ম্যারাথন ২১ কিলোমিটারে ৩০০ জন ও ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ৩০০ জনসহ মোট ৭০০ দৌড়বিদ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, রাশিয়া ও চেক রিপাবলিকের ১৫ জন নাগরিক আছেন।
দৌড়বিদদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যসহ ২০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন। চিকিৎসাসেবার জন্য থাকবে অ্যাম্বুল্যান্সসহ একটি মেডিক্যাল টিম। ওই দিন ভোর ৫টার দিকে দৌড় শুরু হবে। যা শেষ হবে হাসনাবাদ ১০ নম্বর ব্রিজ এলাকায় গিয়ে।
পরে ফের সব দৌড়বিদ উপজেলা পরিষদ মাঠে জড়ো হবেন। অতিথিদের সমাপ্তি বক্তব্য ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হবে রায়পুরা ম্যারাথন।
ম্যারাথন দৌড়ে ব্যবহার করা হবে নরসিংদী-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কের হাসনাবাদ ১০ নম্বর ব্রিজ পর্যন্ত। ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে যান চলাচল। ওই সময় যাত্রী, চালক ও পথচারীদের দুটি বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে মাইকিং করে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইকবাল হাসান বলেন, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে দেশি ও বিদেশি ৭০০ দৌড়বিদ নরসিংদী শহর ও রায়পুরা সদরে পৌঁছাবেন। তাদের থাকা, খাওয়া ও দৌড়ানোর রোডম্যাপসহ যাবতীয় প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসন ও রায়পুরা রানার্স কমিউনিটির পক্ষ থেকে সম্পন্ন করা হয়েছে।
রায়পুরা রানার্স কমিউনিটি সমন্বয়ক সবুজ শিকদার বলেন, ‘নরসিংদীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যারাথন নিয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে ব্যাপাক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। শুধু দৌড়বিদদের অপেক্ষায় আছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম, রায়পুরা প্রেস ক্লাব সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ উদ্দিন ও রায়পুরা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মেহেদী হাসান রিপনসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
নরসিংদী মিরর/এফএ