আজ ২৯ ডিসেস্বর,নরসিংদীর হাতিরদিয়া দিবস। ১৯৬৮ সালের আজকের দিনে গণঅভ্ভুথানের অন্যতম নায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং মাওলানা ভাষানীর নেতৃত্ত্বে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া বাজারে তৎকালীন স্বৈরাচার পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ততকালীন ছাত্র, শিক্ষক ও কৃষকসমাজ।
হাতিরদিয়া হাটে হরতাল পালনকালে পুলিশ গুলি করলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন স্কুল শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, কৃষক চাঁন মিয়া ও হাসান আলী। এসময় আরও সাত- আটজন আহত হয়। তারপর থেকেই স্থানীয়ভাবে এখানে পালন করা হয় হাতিরদিয়া দিবস। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও হাতিরদিয়া বাজারে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা ও স্মরন সভা করেছে নরসিংদীর স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে হাতিরদিয়া দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এই সভায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শহীদ আসাদ পরিষদের সাধারন সম্পাদক সামসুজ্জামান মিলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি নাজমুল আলম, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত শার্মা,
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নরসিংদী জেলা শাখার আহবায়ক সুমন আজাদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আজও সম পর্যায়ে আসেনি। গণঅভুথ্থানের অন্যতম সুতিকাগার এই হাতিরদিয়া বাজার আজও জনগনের কাছে পরিচিত নয়। এখানে ভালো কোনো স্মৃতিস্তম্ভ বা পাঠাগার নেই। আজকের সভায় সরকারি ভাবে এখানের ইতিহাস সম্পৃক্ত একটি স্মৃতিস্তম্ভ ও পাঠাগার নির্মানের দাবি জানানো হয়।