করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে খবর নিতে সদর হাসপাতালে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত কক্ষে কাউকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তথ্য বিভাগ থেকেও নমুনা সংগ্রহকারীর কোন নাম্বার প্রদান করা হয়নি। অন্যদিকে টিকেট কাউন্টারে মানুষের বিশাল সিরিয়াল দেখা যায়। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি কোথাও মানা হচ্ছিলো না। পরবর্তীতে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা স্বপন সাহার দেখা মেলে তথ্য বিভাগের ভিতরেই। তার সাথে কথা বলে জানা যায় রবিবার
(২৮ জুন) নমুনা সংগ্রহ কারা হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাববে তিতি জানান জেলা সিভিল সার্জন অফিসের নির্দেশনায় নমুনা সংগ্রহ বন্ধ আছে।
তবে কবে থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ আছে এমন প্রশ্নের উত্তর শুনে রীতিমতো অবাক হতে হয়। নমুনা সংগ্রকারী একমাত্র এ কর্মকর্তা জানান রবিবারের আগে শনিবার নমুনা সংগ্রহ হয়নি। শুক্রবারও সাপ্তাহিক ছুটির দিন তাই কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে তার আগের দিন বৃহস্পতিবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ও বুধবারও নমুনা সংগ্রহ বন্ধ ছিল। অর্থাৎ গত মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ৬ দিনের মধ্যে মাত্র বৃহস্পতিবার একদিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু কাউসার সুমনের সাথে। তিনি জানান ঢাকা থেকে তাদেরকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তাই আপাততো সারা জেলাতে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ। তবে আগামীকাল সোমবার (২৯জুন) থেকে আবারও নমিুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান সারা জেলায় এখন মাত্র ১০০ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সদর হাসপাতালে একাই লড়ে যাওয়া স্বাপন সাহার তথ্যমতে এখানে প্রতিদিন মাত্র ১০ থেকে ১৫ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগে ৪০ থেকে ৫০টি নমুনা নেওয়া হতো। সর্বোচ্চ ৬০টি নমুনাও সংগ্রহ করেছেন স্বপন। তবে এখন তা কমিয়ে দেয়া হয় উপরের নির্দেশে।
উল্লেখ্য, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৯টি। মোট মৃত্যু হযেছে ২৯ জনের। যাদের মধ্যে সদরের রয়েছেন ৮৬৪ জন। অর্থাৎ জেলায় মোট আক্রান্তের শতকরা ৬৪.৫৩ ভাগই সদেরর রোগী। এতা বেশি রোগী থাকার পরও নমুনা পরীক্ষার এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা সাধারণ মানুষের।
এ বিষয়ে আমরা নরসিংদীবাসি পত্রিকার সম্পাদক ও পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অন্দোলনের নেতা তৌকির আহমেদ হতাশা ব্যক্ত করেন। গলির শেষে আলো দেখতে পাচ্ছেনা না বলেও মন্তব্য করেন সামাজিক সংগঠনের এ সংগঠক।