নিজস্ব প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এক এজেন্ট গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) থেকে বন্ধ রয়েছে ওই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দোকান। এরই মধ্যে ওই এলাকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার বিষপানে মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগ, রিজিওয়নালের (আরএম) চাপে তিনি আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছেন।
মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কাইয়ুম এরিয়া ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। তার অধীনে রায়পুরায় ৩০টি আউটলেট (এজেন্ট শাখা) ছিলো।
নিহতের বড় মেয়ে কানিজা খানম কনক জানান, ২০ জানুয়ারি শনিবার রাতে কাইয়ুম বিষপান করেন। পরে ২২ জানুয়ারি সোমবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার পরিচালকের নাম শহিদুল ইসলাম লিটন। তার বাড়ি একই উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। দোকান বন্ধের পর থেকে তিনি এখনও পলাতক। তার প্রতিষ্ঠানের নাম সততা এন্টারপ্রাইজ।
কাইয়ুমের স্ত্রী ও কন্যা জানান, আলগী বাজার আউটলেটে গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকেই কাইয়ুমের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন ব্যাংকটির আরএম রেদোয়ান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এক পর্যায়ে রেদোয়ান গ্রাহকদের সব টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে তার কাছ থেকে একটি স্ট্যাম্পে সই নেন। বার বার কর্তৃপক্ষের এমন চাপ সইতে না পেরে কাইয়ুম শনিবার সকালে বিষপান করেন। কিছুক্ষণ পর স্বজনরা টের পেয়ে প্রথমে তাকে ভৈরবের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে ঢামেকে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ব্যাংকের আর আম দেওয়ান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নরসিংদী মিরর/ এফএ