কংক্রিটে আচ্ছাদিত শহর থেকে প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। পানিনিষ্কাশনের পথগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয় আংশিক। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে চলা জলাবদ্ধতা সমস্যারও সমাধান হয় না।
সরো জমিনে গিয়ে দেখা যায় পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের বাজারে রাস্তায় বৃষ্টিতের পানিতে রাস্তার বিভিন্ন অংশ ডুবে থেকেছে পানিতে।
বৃষ্টি হলে পানির সামান্য একটি অংশ মাটির নিচে যায়। বড় অংশই ছোট নালা, রাস্তার পাশের ক্যাচপিট (রাস্তার পাশে পানিনিষ্কাশনের ছোট পথ) হয়ে তুলনামূলকভাবে বড় আকৃতির নালায় পড়ে। সেখান থেকে পানি যায় খালে। এরপর স্লুইসগেট বা পাম্পস্টেশনের মাধ্যমে পানি নদীতে গিয়ে জমা হয়। পুরো এই প্রক্রিয়ার কোথাও কোনো ব্যত্যয় ঘটলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এ কারনে যানজট আর জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে নাকাল হতে হয়েছে এলাকাবাসী কে। কিছু দোকানের মধ্যে ঢুকে গেছে রাস্তার পানি।
ঝড়-বৃষ্টি গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিলেও, বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি।জলাবদ্ধতা নিরসনে কতৃপক্ষের কোনো উদ্যোগই চোখে পড়েনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ ময়লা-আবর্জনা যুক্ত পানি মাড়িয়ে পথ চলছে। যানবাহন ছাড়া যারা পথ চলছেন তাদের জুতা হাতে নিয়ে কিংবা জুতা পায়েই পানির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বাজারের ট্রাফিক ব্যবস্থাই শুধু ভেঙে পড়ে না, রাস্তায় আটকে পড়েন শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বর্ষাকাল প্রতিবছর নগরবাসীর সামনে দুর্ভোগের প্রতিচিত্র রূপে আবির্ভূত হলেও এ থেকে মুক্তি মিলছে না মূলত সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতা, পরিকল্পনাহীনতা এবং অদূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে। অবশ্য এজন্য নগরবাসীর অসচেতনতাও কিছুটা দায়ী।