দেশে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর প্রথম যে কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ে তাদের মধ্যে অন্যতম নরসিংদী। ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলাকে শিল্পনগরী বলা হলেও করোনা পরীক্ষা করতে রীতিমতো হিমশীম খেতে হচ্ছে এ জেলার লোকজনদের। জেলা হাসপাতালে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। পরীক্ষার ফলাফল পেতেও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়।
এমন পরিস্থিতিতে জেলার সবচেয়ে বড় সামাজিক সংগঠন “আমরা নরসিংদীবাসি”র পক্ষ থেকে প্রথমে পিসিআর ল্যাবের দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে ছবি শেয়ার করতে দেখা যায়। তবে গতকাল রোটারেক্টর নুর আলম করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে সামাজিক সংগঠনগুলোর মাঝে আক্ষেপ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে জেলার সবচেয়ে বড় সামাজিক সংগঠনগুলোর প্লাটফর্ম “আমরা নরসিংদীর স্বেচ্ছাসেবী” সহ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে একযোগে সামাজিক মাধ্যমে ল্যাবের দাবী তোলা হয়। প্রায় ৪৫টির বেশি সংগঠন এতে অংশ নেয়ায় এটা জেলার অন্যতম একটি বড় অনলাইন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়টি কীভাবে শুরু করার কথা চিন্ত করা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে আমরা নরসিংদীবাসির অন্যতম সংঘটক ও সাংবাদিক তৌকির আহমেদ জানান বর্তমান পরিস্থিতির কারণে একটু দেরিতে কাজ শুরু করেছেন তবে এ প্রচারণা নিয়ে তিনি আশাবাদি বলেও জানান। এক্ষেত্রে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসলে ১০ দিনের ভিতরে ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব বলে জানান বিভিন্ন সময়ে সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এ নেতা।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ক ইফাত হক বলেন অনেক উচ্চপদস্থ লোকজনের সাথে এসব সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের সুসম্পর্ক রয়েছে। হয়তো এ প্রচারণার মাধ্যমে জনতার দাবী তাদের কাছে পৌছে যাবে।
উল্লেখ্য, একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনে প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে একটি আবেদন সরকারের উচ্চমহলে প্রেরণ করা হয়েছিল। তবে এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে বেসরকারী উদ্যোগে হলেও পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবী উঠছে। নারায়নগঞ্জের মতো ব্যাক্তি উদ্যোগে এটা স্থাপন সম্ভব বলে জানান তৌকির আহমেদ। এ বিষয়ে নরসিংদী সদরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আবু কাউছার সুমন জানান ব্যাক্তি উদ্যোগে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। কেউ চাইলে এভাবে ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব।