নরসিংদীর পলাশে চাকুরির খোজেঁ এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২ বছরের এক তরুণী। পরে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ও এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার নতুন পাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেকপাড়া এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (২২) ও ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানা এলাকার বাউশখালী গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (২০) । আরিফ মিয়া ঘোড়াশাল পৌর এলাকার নতুন পাড়া গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুনামগঞ্জ জেলা থেকে ২ থেকে তিন দিন আগে চাকুরির খোঁজে ঘোড়াশালে আসে এক তরুণী। পরে সে পৌর এলাকার নতুন পাড়া এলাকার একটি বাসাতে ভাড়ায় উঠে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ভুক্তভোগী ওই তরুণী প্রকৃতির ডাকে তাদের ভাড়া বাসার বাইরের শৌচাগারে যায়। পরে শৌচাগার থেকে ফেরার পথে ইমরান, আরিফ ও সেলিম মিয়া ওই তরুণীকে জোর করে ওই ভাড়া বাসার অপর একটি রুমে নিয়ে গেলে অভিযুক্ত ইমরান হোসেন তাকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি সেলিম মিয়া ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন।
এ এঘটনায়থানা পুলিশকে খবর দিলে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইমরান হোসেন ও আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় দুপুরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদেরকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত রবিবার শুনানির দিন ধার্য করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে। নির্যাতিতা তরুণীর নরসিংদী সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। আর অভিযুক্ত অপর আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।