নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল সারকারখানা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি। শনিবার বিকালে তিনি সারকারখানা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি বলেন, ঘোড়াশালে দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে সর্ববৃহৎ সারকারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সারকারখানার ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ ঘোড়াশাল সার কারখানায় অগ্নিকান্ড খুবই দুঃখজনক। এ অগ্নিকান্ড কারো গাফিলতির কারণে সংগঠিত হয়েছে কিনা তা জানার জন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে পর অগ্নিকান্ডের প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত প্রতিবেদনে কারো কোনো গাফিলতির প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় সারকারখানা পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী ২ পলাশের সংসদ সদস্য ডা: আনোয়রুল আশরাফ খান দিলীপ, ঘোড়াশাল পলাশ সার কারখানা প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক, পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়সমিন, সহকরী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী, জেলা আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য মাহফুজুল হক টিপু সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলার পলাশে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট (জিপিইউএফপি)’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যমান ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউএফএফএল) এবং পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (পিইউএফএফএল) এর স্থলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। জাপানের ঐতিহ্যবাহী মিত্সুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এমএইচআই) এবং গণচীনের চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নং-৭ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসি-৭) কনসোর্টিয়াম এ কারখানা নির্মাণ করছে।
এ সার কারখানা নির্মাণের ফলে এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে সর্ববৃহৎ সারকারখানা। শুক্রবার সকাল থেকেই সার কারখানায় নতুন ভবনের পাইলিং এর কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। দুপুর ১২ টার দিকে পাইলিং তিতাস গ্যাসের পাইপলাইনে পৌঁছালে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দীর্ঘ ৫ ঘন্টাপ্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় আশরাফ ট্রেড প্রতিষ্ঠানের একটি পাইলিং মেশিন পুড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।