স্বনামধন্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান আর নেই। আজ শনিবার(২০ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ৮টার দিকে নিজ বাসায় মারা গেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন তার পুত্রবধূ রুবী।
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ টি এম শামসুজ্জামান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন বিকালে তাকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল থেকে গতকাল শুক্রবার তিনি বাসায় ফিরেছিলেন।
খাবার খেলেই বমি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনয়ের জন্য পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।
এ টি এম শামসুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে।
২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা।