ফলাফলের অপেক্ষায়
বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া ,ককটেল সাদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ ও ব্যালট পেপারে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে নরসিংদী পৌরসভা এলাকার ৪ টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল ৮টায় সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহন শুরু হয়। সকালে ভোটারের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। সকাল ১০টার দিকে ইউএমসি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে উট পাখি প্রতিকের কাউন্সিলর প্রাথী খাইরুল হক ও পানির বোতল প্রতিকে কাউন্সিলর প্রার্থী আইনউদ্দিন সরকারের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় কেন্দ্রের ভেতরে ৩টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ করে। তবে এগুলো বিস্ফোরন ঘটেনি।
মারপিট ও হাতাহাতিতে এক কাউন্সিলর প্রার্থী আহত হয়। এঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী খায়রুল হকের বড় ভাই আশ্রাফুল হককে আটক করে পুলিশ। এদিকে শহরের বৌয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর ৪টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন রিটানিং কর্মকর্তা।
স্থগিত কেন্দ্রগুলো হলো ৮নং ওয়ার্ডের ইউএমসি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর নাগরিয়াকান্দী মহিলা কেন্দ্র, পুরুষ কেন্দ্র ও ইউএমসি পুরাতন কলোনী, ব্রাহ্মনপাড়া অংশ নিয়ে গঠিত পুরুষ ও মহিলাকেন্দ্র এবং ৪নং ওয়ার্ডের বৌয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এসকল কেন্দ্র সমূহে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ১৩৭।
ইউএমসি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইটিং অফিসার আব্দুল হান্নান সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করেই কয়েকজন দুস্কৃতিকারী কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। পরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতি হয়। এঘটনার পর কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে অনিয়মের অভিযোগ এনে মাধবদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আনু ভোট বর্জন করেছেন।