পলাশের ডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা!

আগের সংবাদ

দলীয় কোন্দল কি প্রকট করবে পৌর মনোনয়ন?

পরের সংবাদ

নরসিংদীর পৌরনির্বাচনে নৌকায় নতুন মাঝি আশরাফ

ইয়াহইয়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২১ , ১০:১৮ অপরাহ্ণ

নরসিংদীতে আসন্ন নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নরসিংদী শহর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকার। দলের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে নতুন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। নরসিংদীতে নতুন মুখ আসলেও মাধবদী পৌরসভায় মনোনয়ন দেওয় হয় বর্তমান মেয়র মো মোশারফ হোসেন খানকে।

১৩ জানুয়ারী(বুধবার) নরসিংদী জেলা আওয়ামিলীগ কার্যালয়ের সামনে মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থীদের উপস্থিতিতে এই নাম ঘোষণা দেয়া হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে মেয়র পরিবারের হিসেবে পরিচিত সাবেক মেয়র লোকমানের পর বিপুল ভোটে নির্বাচিত বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল যুগের অবসান হতে যাচ্ছে মনে করা হচ্ছে। ফলে নরসিংদীর রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হতে যাচ্ছে তা বলাই যায়।

আশরাফ হোসেন সরকার ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তিনি নরসিংদী শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ সরকার ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ছাত্র জীবন থেকেই রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে নির্যাতিত হয়েছেন, কারাভোগ করেছেন বলে জানা যায়। নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবার “সরকার বাড়ি” দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের ভিত্তিকে মজবুত করেছেন।

অন্যদিকে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করার পরেও বর্তমান মেয়র ও বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে দ্বন্ধে জড়িয়ে পরায় মনোনয়ন হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে নরসিংদীর পৌরসভার মেয়র মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নরসিংদী জেলা মোটর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আহমেদ রনি কায়সার। আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ বছরের ২৩ মার্চ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল,যার সিআর মামলা নং ১৬৭১/২০। চি

মামলার আরজিতে বলা হয়েছিল, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি। ২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের হলফনামায় তিনি তার এই শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন।

এ ছাড়া আরো নানা অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয় বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তবে মেয়র পরিবার থেকে এখন বিষয়টিকে কিভাবে দেখা হয় সেটাই দেখার বিষয়।