ধর্ষণ মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু)সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরআগে নুরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী।
আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। সোমবার রাতে শাহবাগ এলাকায় মিছিল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে লালবাগ থানায় নুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় নুরসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নূর ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন: হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি।
এদের মধ্যে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ও এজহার থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হাসান আল মামুন, যিনি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।
আসামিদের তালিকায় সহযোগী হিসেবে ডাকসু ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরের সঙ্গে একই সংগঠনে যুক্ত নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকির নামও রয়েছে। এরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী থেকে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে লালবাগ থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, হাসান আল মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। তার সাথে আরও পাঁচজনকে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে নুর তিন নম্বর।